ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

বাংলা নতুন বছর বরণে..কক্সবাজারে পৌঁেছছে বিপুল সংখ্যক পর্যটক

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার ॥

পহেলা বৈশাখ উদযাপনে গত বৃহস্পতিবার থেকে টানা দুইদিনের ছুটিতে কক্সবাজারে এসেছে বিপুল সংখ্যক পর্যটক। পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে পহেলা বৈশাখে আয়োজন করা হয়েছে নানা অনুষ্ঠানের। নববর্ষকে স্বাগত জানাতে নতুন সাজে সেজেছে দীর্ঘতম সৈকত শহর।

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। বছরের বিশেষ বিশেষ দিনে এখানে ভিড় বাড়ে পর্যটকদের। আর পহেলা বৈশাখ হলে তো কথাই নেই। এ জন্য নিজের প্রতিষ্ঠানকে নানা সাজে সাজিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। সোথে বর্ণিল সেজেছে পর্যটন স্পটগুলোও।

একই সঙ্গে নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের কারণে উৎসবে রূপ নেবে পর্যটন রাজধানী খ্যাত কক্সবাজার। ইতোমধ্যে অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে চার শতাধিক হোটেল মোটেল,রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলো কক্ষ। শুক্রবার থেকেই বিপুল সংখ্যক পর্যটক আগমন করেছে এখানে।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদারের দাবি, বন্ধের দিনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন। তাই ভিন্ন মাত্রিক আয়োজনের কারণে এবার বৈশাখ হবে কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের জন্য স্মরণীয় দিন।

আর পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী।

তিনি বলেন, পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে পহেলা বৈশাখে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা হচ্ছে, ইভটিজার দের হাতে নাতে ধরতে সাদা পোশাকে ট্যুরিস্ট পুলিশ টিম, চারটি মোটর সাইকেল র‍্যাপিড মোবাইল পেট্রোল টিম, ট্যুরিস্ট পুলিশ পিকাপ পেট্রোল টিম সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও পর্যটকদের যেকোনো সমস্যায় ট্যুরিস্ট পুলিশকে ফোন করার আহবানও জানান তিনি।

পহেলা বৈশাখে শুধু পর্যটন কেন্দ্রিক নয় পাশাপাশি কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন, তারকা মানের হোটেল কর্তৃপক্ষ, রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

পাঠকের মতামত: